প্রতিদিনের মাস'আলা মাসায়েল / প্রশ্নোত্তর |
গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম | রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) |
(৪৬৭) কোন ব্যক্তি যদি নিজ দেশ থেকে জেদ্দা সফর করে অতঃপর ওমরা আদায় করার ইচ্ছা করে। সে কি জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে? |
এ মাসআলাটির দু’টি অবস্থাঃ
প্রথমঃ লোকটি ওমরার নিয়ত না করে অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ওমরা করার ইচ্ছা হয়েছে, তবে সে জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ)এর হাদীছে মীক্বাতের আলোচনায় বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি এই মীক্বাত সমূহের মধ্যে অবস্থান করে, সে যেখানে আছে সেখান থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।”
দ্বিতীয়ঃ দৃঢ়ভাবে ওমরার নিয়ত করেই জেদ্দা সফর করেছে। তাহলে যে মীক্বাতের নিকট দিয়ে গমণ করবে তাকে অবশ্যই সেখান থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে। জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না। কেননা জেদ্দার অবস্থান মীক্বাতের সীমানার মধ্যে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি মীক্বাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ “এগুলো স্থান সেখানকার অধিবাসীদের জন্য এবং যারা এর বাইরে থাকে সেখান দিয়ে যেতে চায় তাদের জন্য ইহরাম বাঁধার মীক্বাত- যারা হজ্জ ও ওমরা করার ইচ্ছা পোষণ করে।”
যদি জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধে এবং মক্কা প্রবেশ করে, তবে বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদ্ইয়া স্বরূপ মক্কায় একটি কুরবানী করতে হবে এবং তার গোস্ত মক্কার ফক্বীর-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে দিবে। তাহলেই তার ওমরা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
জেদ্দা যাওয়ার আগে যদি ওমরার নিয়ত করে থাকে এবং বিনা ইহরামে জেদ্দা প্রবেশ করে, তবে নিকটবর্তী কোন মীকাতে ফেরত গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বাঁধবে। এতে কোন ফিদ্ইয়া লাগবে না।
|
রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

হজ্জ্বে মিকাতের মাসআলা
জুলাই ২৩, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭
বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭

যানবাহন এবং সফরের দোয়া
জুন ১৫, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল
যানবাহনের দোয়াযে কোন যানবাহনে উঠার সময় প্রথমে ডান পা রেখে বিস্মিল্লাহ্ পুরা পাঠ করবে। তারপর তিনবার “আলহামদুলিল্লাহ্” তিনবার “আল্লাহুআকবার” বলে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে।
“সুবহানাল্লাজী ছাখ্খারলানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুন ক্বলিবুন।
অত:পর তিনবার “সুবহানাল্লাহ” বলে
নিম্নলিখিত দোয়া পাঠ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচুকি হাসি দিবে। “সুবহানাকা ইন্নি যালামতু নাফসি ফাগফিরলি ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা।
সফর অবস্থায়ঃ আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছাহিবু ফিচ্ছফরি ওয়াল খলিফাতু ফিল আহ্লি আল্লাহুম্মাছ হাবনা ফিচ্ছফরি ওয়াখ লুফনা ফি আহলি।
মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭
সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭

মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া
জুন ১২, ২০১৭
-
৯টি মন্তব্য
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল
মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া ঃ মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া ঃ
রাসুল (সা.) বলেছেন,,, যখন তোমাদের কেহ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন (প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে) বলবেঃ
‘আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা’ অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দিন।’
আর যখন মসজিদ থেকে বের হবে তখন (বাম পা আগে দিয়ে) বলবেঃ
‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদলিকা”
রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭

রোগ থেকে আরোগ্য
জুন ১১, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
রোগ থেকে আরোগ্যاَللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اِشْفِ اَ نْتَ الشَّافِىْ لاَ شَافِىْ اِلاَّ اَ نْتَ شِفَاءً لاَيُغَادِرُ سُقْمًا
আল্লাহুম্মা রাব্বান নাছি মুযহিবাল বাছি - ইশফি আনতা শাফি - লা শাফি ইল্লা আনতা শিফা'ন লা ইয়োগাদিরু সুকমা
আনাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (সাঃ) অসুস্থ ব্যাক্তিদের উপর এই দোয়া পড়ে ফু দিতেন। অসুস্থ ব্যাক্তি দ্রুত আরোগ্য লাভ করতো। (বুখারী শরীফ খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৮৫৫)
ব্যাথা উপশম
اَعُوْذُ بِعِزَّ ةِ اللهِ وَقُدْرَ تِهِ مِنْ شَرِّ مَااَجِدُ
আউযুবি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শার'রি মা আজিদু
হযরত উসমান (রাঃ) একবার ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলেন। রাসূল বললেন, আপনি ডান হাত দিয়ে ব্যাথার স্থান বুলানোর সময় এই দোয়া সাতবার পড়ুন। ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। (সুনান আবু দাউদ,খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৫৪৩)
জান্নাত লাভ
য়াল্লাহু আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। আল্লাহুম্মা ইয়া ইন্নামাল বাসারী ওয়া ইয়া আজিমাল খাতারী। ওয়া ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতী। ওয়া ইয়া আজিজাল মান্নি ওয়া ইয়া মালিকি ইয়াওমুদ্দিন বিহাক্বী ইয়্যা কানা’বুদু ওয়া ইয়্যা কানাছতাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া রাহমানুর রাহিম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইলাহাল আলামীন ওয়া ইয়া খাইরান নাছিরিন। ওয়া ইয়া গিয়াসাল মুস্তাগিছিনা বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

ঋণ মুক্তির দোয়া
জুন ১০, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল
اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلاَ لِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
আল্লাহুম্মা আকফিনি বি হালালিকা আ'ন হারামিকা আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াকা
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি এই দোয়া পড়বে সে যদি পাহাড়ের সমানও দেনাগ্রস্থ হয়ে থাকে তবুও তার জন্য দেনা পরিশোধ সহজ করে দেয়া হবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৯৫)
বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
জুন ০৮, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল-০১
ঘুম থেকে উঠার পরে দোয়াঃ
اَلْحَمْدُ للهِ الَّذِىْ اَحْىَ نَفْسِىْ بَعْدَ مَااَمَاتَهَا وَ اِلَيْهِ النُّشُوْرُ
আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আহইয়া নাফছি বা'দা মা আমাতাহা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
দুনিয়ায় মানুষ কমবেশি বিপদ, মসিবত ও পেরেশানিতে পড়ে। এসব থেকে মুক্তি লাভের উপায় হিসেবে নবী করিম (সা.) উম্মতকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। তা থেকে কিছু উল্লেখ করা হলো।
হজরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজজোয়ালিমিন।’ (একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয় আমি সীমা লঙ্ঘনকারী)। -জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০০
মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭

ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বাহির হওয়ার দোয়া
জুন ০৬, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল
দৈনিন্দন জীবনে রাসূল স: এর একটা আমল ছিল ঘরে প্রবেশ ও ঘর হইতে বাইরে যাওয়ার সময় দোয়া। এই ছোট্ট সুন্নাতের আমল আমাদের মাঝে নাই। এটা শুধু সুন্নাত নয়, বরং ফযিলাতেরও। এতে আমাদের নিরাপত্তা ও বরকত। জাবের ইবেনে আব্দুল্লাহ রা. হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (স:) কে বলিতে শুনেয়াছি যে,
"إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ فَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ." (رواه مسلم)
“যখন মানুষ নিজের ঘরে প্রবেশ করে এবং প্রবেশের সময়ও খাওয়ার সময় আল্লাহ তায়ালার যিকর করে তখন শয়তান (তাহার সঙ্গীদেরকে) বলে, এখানে আমাদের জন্য না রাত্রিযাপনের জায়গা আছে, না রাত্রের খাবার আছে। আরযখন মানুষ ঘরে প্রবেশ করে এবং প্রবেশের সময় আল্লাহতায়ালার যিকর করে না, তখন শয়তান (তাহার সঙ্গীদেরকে) বলে, এখানে তোমারা রাত্রিযাপনের জায়গা আছে পেয়ে গিয়েছো। আর যখন খাওয়ার সময়ও আল্লাহতায়ালার যিকর করে না, তখন শয়তান (তাহার সঙ্গীদেরকে) বলে, এখানে তোমরা রাত্রিযাপনের জায়গা ও রাত্রের খাবারও পেয়ে গিয়েছে।” (সহীহ মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় আছে, যখন দোয়া পড়ে ঘর থেকে বের হয়, তখনতাহাকে বলা হয় (অর্থাৎ ফেরেশতারা বলে) তোমার কাজ সম্পাদন করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং তোমাকে সমস্ত অকল্যাণ হইতে হেফাজত করা হইয়াছে। শয়তান (ব্যর্থ হইয়া) তাহার নিকট হইতে দূর হইয়া যায়। অন্য আরেক বর্ণনায় আছে, শয়তান তাহার নিকট হইতে দূর হইয়া যায়, অপর এক শয়তান প্রথম শয়তানকে বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কিভাবে আয়ত্ত্বে নিতে পার, যাহাকে পথ দেখাইয়া দেওয়া হইয়াছে, যাহার কাজ সম্পাদন করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং তাহার হেফাজত করা হইয়াছে। (হাদিস সহীহ/আবুদাউদ ও তিরমিযী, বর্ণনায় আনাস রা.)
ঘরে প্রবেশের দোয়া:
1. اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ, بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا بِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا.
(حديث ضعيف/ رواه ابو داود عن ابي مالك الاشعري رضيالله عنه)
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা খায়রাল মাওলাজি ওয়াখায়রাল মাখরাজি, বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনাবিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়া আলাল্লাহি রাব্বানা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট ঘরে প্রবেশ করা ও ঘর হইতে বাহির হওয়ার কল্যাণ প্রার্থনা করিতেছি। আমরা আল্লাহ তায়ালারই নামে ঘরে প্রবেশ করি এবং আল্লাহ তায়ালারই নামে ঘর হইতে বাহির হই, এবং আমাদের রব আল্লাহর উপরই আমরা ভরসা করি।
2. السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عَبَّادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ / السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ.
(حديث صحيح/ رواه الترمذي عن انس بن مالك رضي الله عنه)
উচ্চারণ: আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন, আসসলামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
অর্থ: আমাদের উপর এবং নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিক হোক। তোমাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক।
ঘর হইতে বাহিরে যাওয়ার সময় পড়ার দোয়া:
1. بِسمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ، لاَ حَولَ وَلاَ قُوَّةَ إلاَّ باللهِ.
يقال له كقيت ووقيت وتنحي عنه الشيطان. وفي رواية فتتنحي له الشياطين, فيقول شيطان آخر كيف لك برجل قد هدي وكفي ووقي. (حديث صحيح/ رواه ابو داود والترمذي عن انس بن مالك رضي الله عنه)
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়াক্বালতু আলাল্লাহ, লা হাও লা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ।
অর্থ: আমি আল্লাহর নামে বাহির হইতেছি, আল্লাহর উপরই আমার ভরসা, কোন কল্যাণ হাসিল করা এবং কোন অকল্যাণ হইতে বাঁচার ব্যাপারে সফলকাম হওয়া একমাত্র আল্লাহর হুকুমে সম্ভব হইতে পারে।
2. اللَّهُمَّ إِنِّي أعُوذُ بِكَ أنْ أضِلَّ أَوْأُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أجْهَلَ أَوْيُجْهَلَ عَلَيَّ.
(حديث صحيح/ رواه ابو داود و الترمذي عن ام سلمة رضي الله عنها)
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা আন আদিল্লা আও উদাল, আও আযিল্লা আও উযাল, আও আযলিমা আও উযলাম, আও আজহালা আও উযহালা আলাইয়া।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট এই ব্যাপারে পানাহচাইতেছি যে, আমি পথভ্রষ্ট হইয়া যাই অথবা আমাকে পথভ্রষ্ট করা হয়; অথবা সরল পথ হইতে পদাঙ্খলিত হই আথবা আমাকে পদাঙ্খলিত করা হয়; অথবা আমি জুলুম করি অথবা আমার উপর জুলুম করা হয়; অথবা আমি অজ্ঞাতাবশতঃ খারাপ আচরণ করি অথবা আমার সহিত অজ্ঞাতাবশতঃ খারাপ আচরণ করা হয়।
3. آيَةَ الْكُرْ سِيْ.
(حديت ضعيف/ تخريج التاج الجامع)
আয়াতুল কুরসী পাঠ করা।
4. أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِى لاَ تَضِيْعُ وَدَائِعُهُ.
(حديث صحيح/ رواه احمد و ابن ماجة عن ابي هريرة رضي الله عنه)
উচ্চারণ: আসতাওদিয়ুকুমুল্লা হাল্লাযি লা তাদিয়ু ওয়াদিয়ু।
অর্থ: আমি তোমাদিগকে সেই আল্লাহর হাতে সোর্পদ করিতেছি, যার নিকট সোর্পদকৃত আমানত কখনো বিনষ্ট হয়না।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى اْلاَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَآءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূর'রু মা'আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি'ই ওয়াহুয়া সামি'য়ুল আলিম
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দূর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৩
সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

টয়লেটে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার দোয়া
জুন ০৫, ২০১৭
-
১৭টি মন্তব্য
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল
টয়লেটে প্রবেশ এবং টয়লেট থেকে বাহির হওয়ার দোয়াاَللَّهُمَّ اِ نِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবথি ওয়াল খাবায়ি'
এই দোয়া পড়ে রাসূল টয়লেটে ঢুকতেন। টয়লেটে ঢুকার আগে এই দোয়া পড়তে বলেছেন। (বুখারী শরীফ, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৯৩৬)
পায়খানা থেকে বের হওয়ার দোয়া :
বাংলা উচ্চারণ : গুফরা-নাকা আলহামদু লিল্লাহিল লাযি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি
রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭

জান্নাত লাভের আমল
জুন ০৪, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিভিন্ন প্রকার আমল-০৩
যদি আমরা এজাতীয় ছোট ছোট দোয়া বেশি বেশি পাঠ করি এবং নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করি তাহলে আশা করা যায় মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাকতানী, ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা মাসতাতা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুয়ু লাকা বিজানবী, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইল্লা আনতা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নাই। তুমি আমার স্রষ্টা আর আমি তোমার গোলাম। যথাসম্ভব তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অটল থাকব। আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার ওপর তোমার নেয়ামতসমূহের কথা স্বীকার করি। আমি আমার নাফরমানির কথাও স্বীকার করি। তাই আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নাই।
ফজিলত : যে ব্যক্তি এই ইসতিগফার সকালে পড়বে, অতপর সন্ধ্যার আগে তার মৃত্যু হলে, সে জান্নাতি হবে। অনুরুপভাবে কেউ সন্ধ্যায় পাঠ করে সকালের আগে তার মৃত্যু হলে, সে জান্নাতি হবে।
পায়খানায় ঢুকার দোয়াঃ
শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
জুন ০৩, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
বিপদ মুক্তির দোয়া
বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জওয়ালিমীন
উপরোক্ত দোয়াটি পবিত্র কোরআনে কারিমে উল্লেখিত একটি দোয়া। এই দোয়াটি ‘দোয়া ইউনুস’ নামে প্রসিদ্ধ ও বহুল পঠিত। বিজ্ঞ আলেমরা বলে থাকেন, এই দোয়া যে যত বেশি পড়বে আল্লাহতায়ালা মানুষকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন, কেউ বিপদে পতিত থাকলে আল্লাহতায়ালা তাকে বিপদ থেকে সহজ করে দেবেন। হজরত ইউনুস (আ.) ও হজরত আইয়ুব (আ.)সহ প্রত্যেক নবী-রাসূলরা এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করেছেন।
এই দোয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু দোয়া রয়েছে, যেগুলোর পাঠে মানুষ অনেক ফজিলতের অধিকারী হয়, সৌভাগ্যের অধিকারী হয়। তেমনি আরেকটি দোয়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, হজরত আসমা বিনতে ওমাইর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিব না যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে। সেটি হচ্ছে, ‘আল্লাহু আল্লাহ রাব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।’ (আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি না)। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৫
হাদিসে আর বর্ণিত হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওআনতা তাজআলুল হুযনা সাহলান ইযা শিইতা।’ (ইয়া আল্লাহ! কোনো বিষয় সহজ নয়। হ্যাঁ, যাকে তুমি সহজ করে দাও। যখন তুমি চাও তখন তুমি মুশকিলকে সহজ করে দাও)। -সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৯৭৪

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
জুন ০৩, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
দোয়া ইবাদতের মগজ সরূপ
নের জন্য। আর যুগে যুগে, গোত্রে, গোত্রে, সময়ে, সময়ে বিভিন্ন নবী রাসূল প্রেরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জণের বিভিন্ন পন্থ শিক্ষা দিয়েছেন। তাদের শিখানো পন্থা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন কাজ করে থাকি। তার মধ্যে মুসলমান হিসেবে আমরা কমেবেশি সবাই দোয়া করি। এটা অনেকটা স্বভাবজাত বিষয়। তবে দোয়া করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখা দরকার। আলেমরা এগুলোকে দোয়া কবুলের শর্ত ও আদব বলে অভিহিত করেছেন।
পবিত্রতা অর্জন:
পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন।
বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করা:
বিনয়ের সঙ্গে দু’হাত তুলে দোয়া করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার নিকট হাত তুলে হাতের তালু সামনে রেখে দোয়া কর। হাত উল্টো করো না। দোয়ার শেষে উত্তোলিত হাত মুখমন্ডলে বুলিয়ে নাও।’ -আবু দাউদ
মিনতিভরা কন্ঠে দোয়া করা:
মিনতি ও নম্রতার সঙ্গে দোয়া করলে তা ইবাদত হিসেবে গন্য হয়। রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া সব ইবাদতের মজ্জা ও সারাংশ।’ দাসত্বের পরিচয় প্রদানই ইবাদতের উদ্দেশ্য। বান্দার নিজের দীনতা ও অক্ষমতা বুঝতে পারা এবং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও অপার মহিমা উপলব্দি করার মধ্যেই দাসত্বের প্রকাশ ঘটে। দোয়ার মাধ্যমে এ দু’টি বিষয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থাৎ নিজের অক্ষমতা ও অসহায়ত্ব এবং আল্লাহর অপ্রতিহত ক্ষমতা, অপার মহিমা ও প্রতাপ অন্তরে স্থান পাওয়া আবশ্যক। দীনতা ও নম্রতা দোয়ার মধ্যে যত অধিক হবে ততই মঙ্গল।
দু’হাত তুলে দোয়া করা: বিনয়, নম্রতা ও দাসত্ব প্রকাশ করার জন্য দোয়ার সময় দু’হাতের তালু আসমানের দিকে রাখতে হবে এবং হাত সম্পূর্ণ সম্প্রসারিত করে দু’হাতের মধ্যে ২/১ আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে। হাত কচলানো, রশি পাকানোর মতো হাতের তালু ঘষাঘষি করা দোয়ার আদবের খেলাপ। মনে রাখবেন, আপনি
শাহানশাহেরর দরবারে হাত তুলেছেন, তাই এখানে কোনো ধরনের অমনোযোগিতা কাম্য নয়। এছাড়া দোয়া শেষে দু’হাত তুলে দোয়া করে দোয়া শেষে হাত দু’টি মুখমন্ডলে মুছে নিবে। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, ‘যে হাত আল্লাহর দরবারে উত্তোলিত হয়, তা একেবারে শূণ্য অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন।’আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ শরীফসহ দোয়া করা :
আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ শরীফসহ দোয়া করা। আল্লাহর প্রশংসা যেমন, ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন’ দোয়ার শুরুতে বলা। এছাড়া ইসমে আজমের সহিত দোয়া করা উত্তম। হজরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ইসমে আজম এই আয়াতদ্বয়ে রয়েছে-
১. ‘ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদুন লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম।’ -সূরা বাক্বারা : ১৬৩
২. ‘আলীফ লাম মীম। আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।’ -সূরা আল ইমরান : ১
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলে কারিম (সা.)-এর নিকট বসেছিলাম। একজন লোক সেখানে নামাজ পড়ছিল। সে তার দোয়ার মধ্যে আরজ করল, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার প্রয়োজন প্রার্থনা করছি এই ওসিলায় যে, প্রশংসা ও গুনকীর্তণ আপনার জন্যই উপযুক্ত। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি পরম দয়ালু ও অসীম অনুগ্রহদাতা এবং পৃথিবী ও আকাশ মন্ডলীর স্রষ্টা। আমি আপনার কাছেই আপনার অনুগ্রহ চাই। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যু! ইয়া জালজালালী ওয়াল ইকরাম! রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ বান্দা আল্লাহর ইসমে আজমের ওসিলায় দোয়া করেছে। এ ওসিলায় আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে, আল্লাহ তা দান করেন। -তিরমিজি
হজরত ফুজালা ইবনে উবায়দা (রা.) বর্ননা করেন, রাসূলে কারিম (সা.) এক ব্যক্তিকে দোয়া করতে শুনলেন। সে দোয়ায় আল্লাহপাকের প্রশংসা করল না এবং রাসূল (সা.)-এর ওপর দরুদও পাঠ করল না। এতে রাসূলে আকরাম (সা.) বললেন, লোকটি তড়িঘড়ি করে দোয়া করেছে। তিনি লোকটিকে ডেকে আনলেন এবং তাকে অথবা উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজ পড়ে তখন দোয়া করার পূর্বে তার উচিত আল্লাহতায়ালার প্রশংসা করে নেয়া ও রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠ করা। এরপর যা ইচ্ছা তা চাওয়া। -তিরমিজি ও আবু দাউদ
এক হাদিসে এসেছে হজরত রাসূলে মাকবুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দোয়া করার পূর্বে দরুদ শরীফ পড়ে, তার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। মহান আল্লাহতায়ালা অসীম দয়ালু; দোয়ার কিয়দাংশ কবুল করে অপর অংশ কবুল না করা তার স্বভাব নয়। এই হাদিসের সারমর্ম এই যে, দরুদ তিনি অবশ্যই কবুল করে থাকেন, সুতরাং তিনি দরুদ কবুল করে দোয়ার অবশিষ্টাংশ অর্থাৎ প্রার্থনীয় বিষয় অগ্রাহ্য করেন না। শেষ পর্যন্ত উভয় অংশই কবুল করেন।
হজরত আবু সোলায়মান দারানী (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করে, তার উচিত, প্রথমে দরুদ পড়া এবং দরুদ পড়ে দোয়া শেষ করা। কেননা আল্লাহ উভয় দরুদ কবুল করেন। -কিমিয়ায়ে সাআদাত
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দোয়াঃ
اَسْتَغْفِرُالله الَّذِىْ لآَ اِلَهَ اِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَاَ تُوْبُ اِلَيْه
আসতাগফিরুল লাহাল লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাই'য়ুল কাই'ইয়ু'মু ওয়া আতুবু ইলাহ।
রাসূলে পাক বলেছেন, যে ব্যাক্তি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই দোয়া তিনবার পড়ে ঘুমাবে সে ঘুম থেকে নিষ্পাপ হয়ে উঠবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৫)
শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭

My dream Upwork
মার্চ ১৪, ২০১৭
-
কোন মন্তব্য নেই
When I first learned to earn money by working on the
Internet, but in my mind there was much to learn from a violent, how can this
be? Where is the work? What can be done? How the money come? Etc. So when I
found out about it a little while browsing through Upwork ranging from data
entry to change a lot of work to earn money. So slowly I began to read about
the work. I have my dream job Upwork Established my country and I will be established
himself. When will I Established, my country will be Established. This means
that my success is Established my society, my country is Established. When I Established
from Upwork will be around when my orphans, helpless, poor people will help.
The company will work in the educational institutions will learn about making
money. My country's human resource will be converted so that each unemployed.
May Allah the Almighty gives me The dream Implementation.
Amen.
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭
মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭
সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ঘুম থেকে উঠার দোয়া
ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০১৭
-
২টি মন্তব্য
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সর্ব প্রথম শুকরিয়া আদায় করছি যে, আজ থেকে ইসলামের কাজে নিজেকে কিছুটা বিলিয়ে দেওয়ার সুযোগ নিজে তৈরি করে নিতে পেরেছি এজন্য। সাথে সাথে দুজাহানের প্রিয় হাবীব, সরকারে কায়েনাত হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) এর উপর দরুদ পাঠ করে শুরু করছি ইসলামের খেদমত। যেহেতু আজ থেকে সর্ব প্রথম শুরু করছি ইসলামের খেদমতে লিখন, তাই সর্ব প্রথম শুরু করব একটি মানুষের দিনের শুরু থেকে ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনা করার পরামর্শ/আদেশ/উপদেশ দিয়ে। একজন মুসলমান তার জীবন ইসলামের আলোকে পরিচালনা করতে দিনের শুরু থেকেই তাকে ইসলামের ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করা উচিত।
ঘুম থেকে উঠার সময় আল্লাহর নাম স্বরণ করেই দিনের কাজ শুরা করা চাই। কারণ দিনের শুরুতে যে ব্যাক্তি আল্লাহর নাম স্বরণ করে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশ্বাস রেখে দিনের যাত্রা শুরু করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সকল কাজে বরকত দান করেন এটা যুগ যুগ থেকে পরীক্ষিত। তাই বলব আমরা সর্ব
প্রথম ঘুম থেকে উঠার সময় এই দোয়া পাঠ করে ঘুম থেকে উঠব।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদের মৃত্যু দিয়ে আবার জীবনস্ফ দান করেছেন। আর অবশেষে আমাদেরকে তাঁরই কাছে ফিরে যেতে হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩১৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১১ হযরত বারা রা. থেকে
যেহেতু মৃত্যুর সাথে ঘুমের অনেক মিল রয়েছে তাই এ দুআয় ঘুমকে মৃত্যুর সাথে এবং জাগরণকে মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিনের নিদ্রা ও জাগরণকে মৃত্যুর পর পুনর্জীবনের স্মারক ও এর প্রস্তুতি চিন্তার উপায় বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুমের ও ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সময়েরর দুআগুলোর মধ্যে এ দুআটি খুবই সংক্ষিপ্ত, সুতরাং মুখস্থ রাখাও খুব সহজ
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)